শায়খুল হাদীস আল্লামা মো. হবিবুর রহমান
জন্ম: ১৯৩৪
– মো. আবদুল আউয়াল হেলাল
……….
জকিগনজ ইউনিয়নের রারাই গ্রামে ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহন করেন সর্বসাধারণের কাছে মুহাদ্দিস ছাহেব খ্যাত শায়খুল হাদীস আল্লামা মো. হবিবুর রহমান। তাঁর পিতা এলাকার খ্যাতিমান আলিমে দ্বীন মরহুম মাওলানা মুমতায আলী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। মাতা মরহুমা আমিনা খাতুন। সাত ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি তৃতিয়।
এলাকার প্রাইমারী স্কুলে কিছু দিন লেখা পড়া করে বাল্য বয়সেই তিনি বড় ভাই মরহুম মাওলানা নজিবুর রাহমান’র সাথে বর্তমান ভারতের বদরপুর সিনিয়র মাদরাসায় ভর্তি হন। সেখানে কিছু দিন লেখা পড়া করে ফিরে এসে কানাইঘাট থানাধিন সড়কের বাজার আহমদিয়া মাদরাসায় ভর্তি হন। এখানে মাধ্যমিক স্থর পর্যন্ত লেখা পড়া করেন। সড়কের বাজার মাদরাসার ছাত্র থাকাকালীন পার্শ্ববর্তী প্রাইমারী স্কুল থেকে জেলা ভিত্তিক প্রাইমারী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে মেধা তালিকায় দ্বিতিয় স্থান লাভ করে বৃত্তিপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে সিলেটের অন্যতম প্রাচীন ইসলামী বিদ্যাপিঠ গাছবাড়ি জামেউল উলূম মাদরাসায় ভর্তি হন। ১৯৫৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান মাদরাসা এডুকেশন বোর্ডের অধিন আলিম পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বাদশ স্থান লাভ করে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। একই মাদরাসা থেকে ১৯৫৭ সালে ফাযিল পরীক্ষায় বোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় তৃতিয় স্থান লাভ করে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৯ সালে হাদীস বিভাগে কামিল পরীক্ষায় বোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বাদশ স্থান লাভ করে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। উল্লেখ্য যে, গাছবাড়ি মাদরাসার ইতিহাসে বোর্ডের মেধা তালিকায় স্থান লাভকারী প্রথম ছাত্র তিনি।
কর্ম জীবন:
১৯৫৯ সালের তিন আগস্ট ইছামতি দারুল উলূম সিনিয়র মাদরাসায় সহকারী মাওলানা পদে যোগদান করেন। ১৯৬৩ সালের দশ এপ্রিল সিলেটের প্রাচীনতম ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফুলবাড়ি আজিরিয়া মাদরাসায় যোগ দেন। স্বীয় পীর ও মুরশিদ হযরত ফুলতলী ছাহেব কিবলা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির নির্দেশে ১৯৬৩ সালের তেইশ নভেম্বর সৎপুর দারুল হাদীস মাদরাসায় প্রধান মুহাদ্দিস হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৪ সালের চৌদ্দ জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে সুনামের সাথে অধ্যাপনা করেন। পনেরো জানুয়ারি ইছামতি দারুল উলূম মাদসায় অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। ইতোমধ্যে সৎপুর দারুল হাদীস মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়ে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা নিরসন কল্পে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণের অনুরোধে ১৯৭৬ সালের এগারো অক্টোবর সেখানে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। তাঁর ঐকান্তিক চেষ্টার ফলে অল্প দিনের মধ্যে মাদরাসার স্থিতিশিলতা ফিরে এলে ১৯৭৭ সালের দুই এপ্রিল সেখান থেকে চলে আসেন।
আরব আমিরাতে গমন:
১৯৭৭ সালে সৎপুর মাদরাসা থেকে চলে আসার কিছু দিন পর তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে গমন করেন । প্রথমে উম্মুল কুওয়াইন শহরে একটি মসজিদে ইমাম ও খতীব হিসেবে কাজ করেন । অল্প দিনের মধ্যে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি সে দেশের বিচার বিভাগে যোগদান করেন। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসা পর্যন্ত তিনি উম্মুল কুওয়াইন কোর্টে বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পাশাপাশি পূর্বোল্লোখিত মসজিদে খতীব’র দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য যে, আরব আমিরাতের কর্মজীবনে সরকারী ছুটির দিনে তিনি মরুচারী বেদুঈনদের অবৈতনিক শিক্ষাদান করতেন। বিশেষ করে বয়স্ক বেদুঈনদের কুরআন শরীফ সহীহ শুদ্ধ তিলাওয়াত শেখাতেন।
আবারো ইছামতিতে:
১৯৮২ সালের চৌদ্দ সেপ্টেম্বর আবারো তিনি ইছামতি মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিয়মতান্ত্রিক ভাবে অবসর গ্রহন করেন।
তাঁর একান্ত প্রচেষ্টা ও অধ্যবসায়ের ফলে তিলে তিলে ইছামতি মাদরাসা পূর্ব সিলেটের শ্রেষ্ঠতম ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। তাঁর একক প্রচেষ্টায় মাদসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়। আলিম, ফাযিল ও কামিল ক্লাশের সরকারী মন্জুরী এবং স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। মাদরাসার বিল্ডিং এবং সুবিশাল মসজিদ তাঁর নীরব সাধনার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
বর্তমানেও তিনি ইছামতি মাদরাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং গভর্ণিংবডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অর্ধ শতাব্দিরও অধিককাল ধরে ইলমে হাদীসের খিদমতে নিয়োজিত এ মনীষী অধ্যাপনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে কুরআন হাদীসের শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশ বিদেশে বিভিন্ন মাহফিলে বয়ান পেশ করে আসছেন।
বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর:
যুক্তরাজ্য: ১৯৮১ সালে স্বীয় পীর ও মুরশিদ হযরত ফুলতলী ছাহেব কিবলা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির নির্দেশে তিনি আরব আমিরাত থেকে প্রথমবারের মত যুক্তরাজ্য সফর করেন। মাত্র পনেরো দিনের সফরে তিনি ছাহেব কিবলার সাথে সে দেশের বিভিন্ন শহরে আয়োজিত মাহফিলে বয়ান পেশ করেন । স্বল্পদিনের সফর শেষে ছাহেব কিবলার সাথে হজ্জ পালন করে আপন কর্মস্থল আমিরাতে ফেরত যান।
এরপর থেকে তিনি প্রায় প্রতি বছরই যুক্তরাজ্য সফর করেন। এসব সফরে তিনি গ্রেট বৃটেনের উল্লেখযোগ্য প্রতিটি শহরে বিভিন্ন মাহফিলের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ইসলামি শিক্ষা বিস্তারের মহান দায়িত্ব পালন করছেন। বৃটেনে বসবাসরত তাঁর ছাত্রগণের অনুরোধে ২০০৯ সালে তিনি একাধারে প্রায় নয় মাস সে দেশে অবস্থান করেন । সে সময় প্রতি শনিবার লণ্ডনস্থ দারুল হাদীস লতিফিয়ায় শামাঈলে তিরমিযী নামক বিখ্যাত হাদীসের কিতাব সম্পূর্ণ দারস পেশ করেন। নিয়মিত সে দারসে বৃটেনের বিভিন্ন শহর থেকে প্রচুর সংখ্যক উলামা এবং সাধারণ মানুষ অংশগ্রহন করতেন। দারস পূর্ণ হলে দুই শতাধিক আলিমকে শামাঈলে তিরমিযীর সনদ প্রদান করেন।
বর্তমানেও বৃটেন সফরকালে বিভিন্ন শহরে রিয়াদুস সালিহীন এবং আদাবুল মুফরাদ নামক হাদীসের কিতাব দারস প্রদান করেন।
যুক্তরাষ্ট্র : ১৯৯৫ সালে আমেরিকায় অবস্থানরত তাঁর ছাত্র ও শুভানুধ্যায়ীদের আমন্ত্রণে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। সে সময় বিভিন্ন শহরে মাহফিল সমূহে যোগদান করেন।
উল্লেখ্য যে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভন্ন শহরে তাঁর প্রেরণা ও নির্দেশনায় বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলামি সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সিরিয়া: ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে তিনি সিরিয়া সফর করেন । সে সময় দামেস্ক’র বিখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদগণের সাথে ব্যাপকভাবে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। সে সফরে দামেস্কের প্রখ্যাত হানাফী আলিম, আল ফিকহুল হানাফী ওয়া আদিল্লাতুহু সহ বহু মূল্যবান কিতাব প্রণেতা শায়খ ড. আসআদ মুহাম্মাদ সাঈদ সাগিরজী তাঁর কাছ থেকে ইলমে হাদীসের সনদ গ্রহন করেন। সনদ গ্রহন উপলক্ষে শায়খ সাগিরজী দামেস্কের উল্লেখযোগ্য উলামার উপস্থিতিতে ২৯ অক্টোবর নৈশভোজের আয়োজন করেন। এ ছাড়া বহুগ্রন্থ প্রণেতা শায়খ ড. আজ্জাজ আল খাতীব, শায়খ হিশাম বুরহানী, শায়খ আবদুর রাহমান হাম্মামী প্রমূখ তাঁর সাথে একান্তভাবে ইলমি আলোচনায় অংশগ্রহন করেন। বিশেষ করে শায়খ হাম্মামী পুরো সফরে নিজে ড্রাইভ করে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনে নিয়ে যান।
মরক্কো: ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে তিনি মরক্কো সফর করেন। এ সময় মদিনাতুল আউলিয়া নামে খ্যাত মারাকাশ শহরে দালাইলুল খাইরাত প্রণেতা ইমাম জাযুলী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম কাযী আয়ায রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ও ইমাম সুহাইলি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রমূখের মাজার যিয়ারত করেন।
ভারত: ভারতের আসাম প্রদেশের বিভিন্ন অন্চলে তিনি বিভন্ন সময়ে ব্যাপক সফর করেন। সে সব সফরে মাহফিলে যোগদান ছাড়াও উলামায়ে কিরামের চাহিদার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্থানে হাদীস শরীফের দারস প্রদান করেন।
রাজনৈতিক জীবন:
শিক্ষকতা ও দাওয়াতি কার্যক্রমের পাশাপাশি একসময় তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহন করেন। স্বাধীনতা পূর্ববর্তীতে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির সিলেটের একজন উল্লেখযোগ্য নেতা ছিলেন। ১৯৭০ সালে নেজামে ইসলামের মনোনয়নে তিনি প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে সন্মান জনক ভোট পান। বাংলাদেশ আনজুমানে ইসলাহ’র দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে আনজুমানে আল ইসলাহ মনোনীত ও সন্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে তিনি জাতীয় নির্বাচনে সিলেট পাঁচ আসনে ( জকিগনজ-কানাইঘাট ) প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
পত্রিকা প্রকাশ:
১৯৯১ সালে জানুয়ারি মাসে তাঁর সম্পাদনায় সিলেট শহর থেকে মাসিক শাহজালাল নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। স্বল্প সময়ে সিলেট অন্চলে ব্যাপক পাঠক প্রিয়তা লাভ করেও ১৯৯৩ সালে নানা কারনে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়।
প্রকাশিত গ্রন্থ:
এ পর্যন্ত তাঁর লেখা পনেরোটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। যেমন-
১. আল কাউলুল মাকবুল ফী মীলাদির রাসূল: মাহফিলে মীলাদের ইতিহাস বিষয়ে উদর্ু ভাষায় লেখা এ কিতাব ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৯৮ এ কিতাবখানা বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়।
২. দোয়ায়ে মাসনুনা ও তেত্রিশ আয়াতের ফযীলত: দৈনন্দিন জীবনে পঠিতব্য হাদীসে শরীফে বর্ণিত দোয়ার সংকলন। ২০১০ সালে বাংলা ভাষায় লেখা এ কিতাবের ১৪তম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ২০১২ সালে লণ্ডন থেকে এ কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
৩.মাসআলায়ে উশর: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ
শরীয়াতের দৃষ্টিতে ভূমি দুই প্রকার, উশরী ও খিরাজী। উশরী ভূমি থেকে উৎপাদিত ফসলের একদশমাংশ যাকাত হিসেবে দেয়া ফরজ। বাংলাদেশের ভূমি থেকে উৎপাদিত ফসলের হুকুম সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হয়েছে এ বইয়ে। ২০০৫ সালে বৃটেন সফরকালে রচিত এ বই ২০০৬ সালের জুন মাসে প্রকাশিত হয়।
৪.দুরূদ শরীফের ফযীলত ও ওযীফা
এ বইখানা ১৯৯৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। পরিমার্জিত দ্বিতিয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে ২০০০ সালে।
৫. যিয়ারতে মদীনা মুনাওয়ারা ( ফযীলত ও নিয়ম)
১৯৯৯ সালে এ বই প্রকাশিত হয়।
৬. আসহাবে বদর
ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী ৩১৩ জন সাহাবী সংক্ষিপ্ত পরিচিতি সম্বলিত এ বই ১৯৯৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বর্ধিত ও পরিমার্জিত দ্বিতিয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে ২০১৫ সালে।
৭. ওযীফা
কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে বর্ণিত দোয়া সম্বলিত পকেট সাইজের এ বই প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে।
৮. হজ্জ ও যিয়ারত ( সংক্ষিপ্ত আহকাম ও নিয়ম)
প্রথম প্রকাশ ১৯৯৯ সালে।
৯. হাদিয়াতুল লাবীব ফী নাবযাতিম মিন সীরাতিন নাবিয়্যিল হাবীব
আরবী ভাষায় লেখা সংক্ষিপ্ত সীরাতের কিতাব। ২০১২ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত হয়েছে। সীরাতে হাবীবে খোদা নামে এ কিতাবের বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে ২০১২ সালের আগস্ট মাসে।
১০. যাখীরাতুল আহাদীসিল আরবাঈন ফী ফাদায়িলি সায়্যিদিল মুরসালীন
বঙ্গানুবাদসহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’র ফযীলত বিষয়ক চল্লিশ হাদীস। ২০১১ সালে প্রকাশিত হয়েছে।
১১. কানযুল আহাদীসিল আরবাঈন ফী মানাকিবি আহলি বাইতিন নাবিয়্যিল আমীন
বঙ্গানুবাদসহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আহলে বাইত তথা পরিবার পরিজনের মানাকিব বিষয়ক চল্লিশ হাদীস।
প্রথম প্রকাশ ২০১১ সাল।
১২. তুহফাতুল লাবীব ফী আসানীদিল হাবীব
আরবী ভাষায় রচিত এ কিতাব ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয়। ২০০৮ সালে পরিমার্জিত তৃতিয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে।
১৩.আত তুহফাতুল লাতীফাহ ফী আহাদীসিল মুসালসালাতিল মুনীফাহ
আরবী ভাষায় রচিত এ কিতাব ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়।
১৪. দালাইলুল খাইরাত
ইমাম জাযুলী রাহিমাহুল্লাহ প্রণীত দুরূদ শরীফের এ কিতাবখানা তাহকীক এবং ওযীফা আকারে পড়ার বিন্যাস করেছেন শায়খুল হাদীস ছাহেব। ২০১০ সালে ইহা প্রকাশিত হয়েছে।
১৫. আল হিযবুল আযম
ইমাম মোল্লা আলী কারী রাহিমাহুল্লাহ প্রণীত এ কিতাব তাহকীক করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে কিতাবখানা প্রকাশিত হয়েছে।
হিফযুল কুরআন মাদরাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা
২০০০ সালে থানাবাজার লতিফিয়া ফুরকানিয়া মাদরাসা সংলগ্ন স্থানে তিনি জমি ক্রয় করে একটি হিফযুল কুরআন মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে এ মাদরাসার নামকরণ করা হয় থানাবাজার হাবিবিয়া হিফযুল কুরআন মাদরাসা।
২০১১ সালে তিনি হিফযুল কুরআন মাদরাসার সাথে একটি এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন ।
উল্লেখ্য যে, ২০০০ সালে হিফযুল কুরআন মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পর তিনি থানাবাজার দাখিল মাদরাসার দুইটি একাডেমিক ভবন, শিক্ষক মিলনায়তন, সুপার এ অফিস সহকারীর পৃথক অফিস রোম, ছাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট এবং নামাজের কক্ষ নির্মান করে দেন। এ সময় মাদরাসার পুরাতন ছোট মসজিদের স্থলে বৃহৎ পরিসরে মসজিদ নির্মান করেন ।
সংসার জীবন:
সংসার জীবনে তিনি চার পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের জনক ।
তথ্য সূত্র:
১. জালালাবাদের কথা ( বাংলা একাডেমি প্রকাশিত)
দেওয়ান নুরুল আনওয়ার হোসেন চৌধুরী
২. চলমান জালালাবাদ: ইসলামী রেনেসাঁর অনন্য যারা
শায়খ তাজুল ইসলাম আউয়ালমহল্লী
৩. চলমান জকিগনজ : ইতিহাস ও ঐতিহ্য
সম্পাদক- হান্নান মিয়া
৪. আহবাব ( সনদ বিতরণ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক ২০০৮)
সম্পাদক – অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুন নূর