মুক্তবাক… মো. আবদুল আউয়াল হেলাল
প্রফেসর ড. জাফর ইকবাল একজন মুক্তমনা, প্রগতিপন্থী, জ্ঞানী মানুষ সন্দেহ নেই। তিনি আস্তিক নাকি নাস্তিক সেটি জানিনা। তবে তিনি একজন চতুর ইসলাম বিদ্বেষী এতে সন্দেহ পোষণ করিনা।তিনি একজন চেতনাজীবি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফেরী করেণ। যদিও উপযুক্ত বয়স থাকা সত্বেও তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেননি।মুক্তমনা, বিজ্ঞান মনস্কতা ইত্যাদির ছদ্মাবরণে যুব সমাজকে ক্রমান্বয়ে ইসলাম বিদ্বেষী করে গড়ে তোলার মিশন নিয়ে কাজ করছেন তিনি। এ সবকিছুর পরও কিন্তু তাঁর উপর গুপ্ত ঘাতকের হামলা সমর্থন করি না। কারণ ইসলাম এ ধরণের আচরণকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে।যে সকল তরুণ ইসলামের নামে উগ্র জঙ্গিবাদের দিকে ধাবিত তারা নব্য খারিজীদের দ্বারা মগজধোলাই’র শিকার। বুদ্ধির মোকাবেলা বুদ্ধি দিয়েই করতে হবে। গুপ্তঘাতকের চাপাতি কিংবা বুলেট দিয়ে নয়।
এ দেশে যেমন তথাকথিত মুক্তমনা, বিজ্ঞান মনস্ক (!) লেখক-ব্লগার গুপ্তঘাতকের ছুরা চাপাতির নির্দয় আঘাতে প্রাণ দিয়েছে ,ঠিক তেমনি মাওলানা ফারুকীরাও প্রাণ দিয়েছে একই চক্রের হাতে। কিন্তু আমাদের একচোখা মিডিয়া এবং রাজনীতিজীবি ও সুশীলদের আচরণ সব সময়ই ছিলো একপেশে। এ ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার পরেই ক্ষমতাসীন ( যখন যারা ক্ষমতায় থাকে) দলের কর্তারা বিরোধি পক্ষের দিকে অঙুলি নির্দেশ করেণ।ফলে কোন কালেই নির্মোহ তদন্ত হয় না। হুকুমের গোলাম তদন্তকারীর কি এমন বুকের পাঠা যে কর্তার অঙুলি নির্দেশের বাইরে যায়।ফলাফল যা হবার তাই হচ্ছে।জঙ্গি সর্বকালেই ক্ষমতাসীনদের তুরুপের তাশ হিসেবে ব্যবহ্রত হচ্ছে।
বিবেক বন্দক রাখা দলদাসরা কর্তা স্তুতি নিয়েই থাকুন।কিন্তু মুক্তবাক তরুণের বুক ঠান করে প্রতিরোধে এগিয়ে আসার এখনই সময়।